৫০ হাজার টাকার পুজি খাটিয়ে প্রতিদিন ২ হাজার মাসে ৬০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব
একটি সফল ব্যবসায়িক গাইডলাইন, যা আপনাকে সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। সফলতা নির্ভর করছে আপনার পরিশ্রম এবং ব্যবসায়িক পরিকল্পনার উপর। কাজেই পুরো গাইডলাইনটি পড়ুন কাজে আসতে পারে।
যাদের অল্প পুজি অথচ চাকরী না করে ব্যবসা করতে চান কিন্ত টাকার জন্য করতে পারছেন না, তাদের হতাশ হবার কোন কারন নেই ।
খুব বেশি না হলেও সামান্য পুজি (৫০০০০ টাকা) নিয়েই ব্যবসা শুরু করা যায় এবং ভাল ইনকাম করা যায় । আমি চা পাতার ব্যবসার কথা বলছি ।
আমাদের চারপাশে অসংখ্য চায়ের দোকান রয়েছে । প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চা পান করছে এসব দোকান থেকে এবং অনেকেই দোকানীর কাছ থেকে মাসে ২/৩ কেজি চা পাতা খুচরা মূল্যে বাসায় বা অফিসের জন্য কিনছে। মানের সাথে চায়ের দামের কিছুটা অসামঞ্জসতা আছে।
যারা চা বিক্রি করছে, তারা প্রতিদিন ১ থেকে ২ কেজি পর্যন্ত চা পাতা ব্যবহার করছে । আপনি আপনার আশে পাশের মাত্র ৪০টি চায়ের দোকানকে টার্গেট করুন।
ধরুন আপনি ৪০টি চায়ের দোকান ঠিক করেছেন যারা আপনার কাছ থেকে প্রতিদিন ১ কেজি চা কিনবে।
দোকানীরা ১ কেজি চা পাতা ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা দরে বিভিন্ন কোম্পানীর কাছ থেকে কিনে । আপনি তাদেরকে এর চেয়েও কম দামে সরবরাহ করবেন ।
আপনি ভাল মানসম্পন্ন চা ২০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে কিনতে পারবেন যা পরিবর্তনশীল (সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যায় নিম্নমানের চা যা ব্যবসার শুরুতে কেনা উচিত নয়; না বুঝেই)।
ধরুন আপনি ৩০০ টাকা দরে কিনে দোকানীকে ৩৪০ টাকা দরে দিলেন। অথবা ২৬০ টাকা দরে কিনে দোকানীকে ৩০০/৩২০ টাকা দরে দিলেন। তাহলে দোকানী এখানেই ৬০/৮০ টাকা লাভ করতে পারবে। আর আপনারও লাভ হবে ৪০ টাকা / ৫০ টাকা প্রতি কেজিতে । তাহলে ৪০ কেজিতে (৪০ টাকার হিসেবে) আপনার লাভ হবে ১৬০০ টাকা প্রতিদিন আর মাসে ৪৮,০০০ টাকা।
অথবা ৪০ কেজিতে ৫০ টাকার প্রতি কেজিতে লাভ হলে আপনার প্রতিদিনের আয় দাঁড়ায় ২০০০ টাকা। আর মাসে আপনার আয় হতে পারে ৬০,০০০ টাকা
আপনি যে সব দোকানীকে চা পাতা দেবেন, তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এসব ছোট দোকানদাররা নগদ লেনদেন করে । যদি নগদ নিতে না পারেন, তাহলে পরের দিন অবশ্যই নিয়ে নিবেন।
তাই আপনাকে ১ কেজি চাপাতা দোকানে দিয়ে পরের দিন টাকা নিতে হবে এবং আরেক কেজি চাপাতা তাদেরকে দিতে হবে ।
অথাৎ ১ কেজি পুজি আপনাকে মার্কেটে রাখতে হবে আর এক কেজির পুজি দিয়ে আপনার মাল কিনে রাখতে হবে।
এখন প্রশ্ন হল, আপনি কি প্রথম মাসেই ৪০/৬০টি দোকান ঠিক করতে পারবেন। না , এর জন্য আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে ।
আপনি হয়তো ১ম মাসে ২০টি দোকান ঠিক করতে পারবেন, পরের মাসে আরো ২০টি এবং এর পরের মাসে আরো ২০টি । এভাবে হয়তো ৬০/৯০টি দোকান ঠিক করতে আপনাকে ৩-৪ মাস সময় লাগতে পারে ।
তবে আমাদের চারপাশে যে হারে চায়ের দোকান বাড়ছে, তাতে আপনি যদি প্রতিদিন ৪-৫ ঘন্টা করে সময় দেন তাহলে এক মাসে অন্তত আপনি ৩০ টি দোকান ঠিক করা কোন ব্যাপার হবে না । এজন্য দোকানদারকে বোঝাতে হবে যে, আপনার পণ্যটি ভাল এবং তাদেরকে ভালো মানের চা পাতা কম রেটে দিচ্ছেন, তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে।
আপনি যদি সময় বেশী দিয়ে ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে পারেন, তবে সফল হবেনই – এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই । দোকান বাড়লে আপনি ইনভেস্ট বাড়িয়ে লাভের পরিমানও বাড়াতে পারেন।
অনেক সময় লাখ টাকা বিনিয়োগ করার পরেও ব্যবসা নাও হতে পারে। তবে এতেও কোনো সমস্যা নেই। চা পাতা কোনো না কোনভাবে তো বিক্রি হয়েই যাবে। সেক্ষেত্রে আপনার টাকা লোকসান হওয়ার আশঙ্কা নেই। কারণ পণ্য তো আপনার কাছেই থাকবে।
এছাড়া আপনি চাইলে প্রথমদিন থেকেই লোক নিয়োগ দিয়ে চা পাতা বিক্রি করতে পারেন। অথবা ব্যবসার পরিধি যখন বৃদ্ধি পাবে তখন কয়েকজন বেকার লোকের চাকরি দিতে পারেন।
মফস্বল শহরে নিশ্চয় কম টাকায় চাকরি দিয়ে অনেক কাজ করিয়ে নিতে পারবেন। তবে অন্তত এসএসসি পাস এমন লোক নিলে ভালো হয়। যাতে টাকা-পয়সার হিসাবে কোনো সমস্যা না হয়। এছাড়া আপনার এলাকায় খোঁজ নিলে এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ কিছু লোক পেতে পারেন। তাদের কাজে লাগাতে পারলে ব্যবসা নিয়ে আপনাকে খুব বেশি চিন্তা করতে হবে না।
কারো এ বিষয়ে কোন কিছুর জানার থাকলে আমাকে কল দিতে পারেন।
মেসার্স লা'ইবা টি হাউজ, পাইকারি ও খুচরা চা বিক্রেতা, লাইসেন্স নং ১১০০৬৬৫৫
স্টেশন রোড, সাতগাঁও বাজার, শ্রীমঙ্গল।
মোবাইল:01724805606, 01854140634
1 Comments
Ami business korte Cai, khulna theke
ReplyDelete